top of page
Search
Writer's pictureLearn Today for TET

রুশো (Rousseau)

Updated: Nov 1, 2023

রুশোর শিক্ষণ পদ্ধতি
ইতিবাচক শিক্ষা vs নেতিবাচক শিক্ষা
Civilized man born, lives and dies in a state of slavery
রুশো (Rousseau)
1712-1778 খ্রিস্টাব্দ

১. 1750 - Academy of Dijon -এর একটি রচনা প্রতিযোগিতায় তিনি প্রথম পুরস্কার পান।
বিষয় - “Has the progress of sciences and arts contributed to corrupt or to purify morals?” তিনি এই প্রবন্ধের বিষয়ের প্রথম অংশকে সমর্থন করেন।
২. “Discourse of Equality”
এই প্রবন্ধে তিনি প্রচলিত সমাজব্যবস্থার আরও তীব্র সমালোচনা করেন।
৩. 1762 সালে তাঁর রাজনৈতিক চিন্তামূলক বিখ্যাত গ্রন্থ “The Social Contract” প্রকাশ করেন।
গতানুগতিক রাজতান্ত্রিক ও যাজকতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন।
৪. 'এমিল' (Emile) 1762 - শিক্ষা
৫. 'Social Contract' -এ ‘প্রাকৃতিক সমাজ' (Natural tate) গঠনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন রুশো।

- প্রাকৃতিক সমাজ বলতে তিনি আদিম সমাজব্যবস্থার কথা বলেননি বা তার পুনরাবৃত্তির কথা বলেননি।
- তিনি বলেছেন, এই সমাজ মানুষের সমবায়ে গঠিত হবে পারস্পরিক চুক্তির মাধ্যমে
- এই সমাজব্যবস্থায় প্রত্যেক ব্যক্তির সমান অধিকার থাকবে নিজের ক্ষমতানুযায়ী বিকাশ হওয়ার। এই প্রাকৃতিক সমাজের নাগরিক হবে প্রাকৃতিক মানুষ (Natural Man)
- এই মানুষ তার নিজের স্বভাবের নিয়ম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে, বাইরের থেকে আরোপিত কোনো নিয়ম দ্বারা নয়।
- " A natural man is complete in himself ”

রুশোর প্রকৃতিবাদের মূল বৈশিষ্ট্য হল- স্বাধীনতা (Freedom), বিকাশ (Growth), আগ্রহ (Interest) এবং সক্রিয়তা (Activity)।

রুশোর শিক্ষাদর্শন ও শিক্ষার লক্ষ্য
⟿ বিষয় ও সৌন্দর্যকে উপলব্ধির মাধ্যমে যে শিক্ষা, তাই প্রকৃত শিক্ষা।
⟿ প্রধান শিক্ষক হলেন প্রকৃতি (Nature) নিজে।

রুশোর শিক্ষাদর্শনে প্রকৃতির তাৎপর্য
রুশোর আদর্শ অনুযায়ী শিশু তিন প্রকার শিক্ষকে নিকট থেকে পাঠ গ্রহণ করবে – প্রকৃতি, মানুষ এবং বস্তুসামগ্রী। এই ত্রিশক্তির প্রভাব ব্যক্তির মধ্যে সুসামঞ্জস্য আকার ধারণ করে, তখন তাকে বলা হয় সুশিক্ষিত ব্যক্তি।

1. মানসিক প্রকৃতি ও তার তাৎপর্য :

2. বিশ্বপ্রকৃতি ও তার তাৎপর্য :

3. জৈব প্রকৃতি ও তার তাৎপর্য :

মানসিক প্রকৃতি (Psychologica Nature)— রুশো তাঁর প্রকৃতিবাদে শিশুর মানসিক বৈশিষ্ট্যের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি বলেছেন, শিশুর শিক্ষা হবে তার জন্মগত প্রকৃতি, অর্থাৎ তার প্রবৃত্তি, চাহিদা, ইচ্ছা, প্রক্ষোভ ও অনুরাগ অনুযায়ী। প্রকৃতি - মনোপ্রকৃতি

জাগতিক প্রকৃতি (Physical Nature)— শিক্ষার জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশকে শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচনা করেছিলেন। শহরজীবনের মধ্যে প্রকৃতির সঙ্গে যোগাযোগ কম; তাই শিক্ষার জন্য তিনি গ্রাম্য পরিবেশকে উপযুক্ত স্থান হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন।

রুশোর মতে শিশু তার জৈবিক সত্তার নিয়ম অনুযায়ী প্রকৃতির রাজ্যে যেমনভাবে বিকাশলাভ করত, ঠিক তেমনি ভাবেই বর্তমানে বিকাশলাভ করবে।

প্রকৃতি - মনোপ্রকৃতি

বিশ্বপ্রকৃতি হবে তার যোগ্য এবং একমাত্র শিক্ষক।

শিশু তার জৈবিক চাহিদার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে, সামাজিক প্রভাব দ্বারা নয়।

রুশোই প্রথম বললেন, ⟿ শিক্ষার জন্য শিশু নয় শিশুর জন্য শিক্ষা। ⟿ শিক্ষাকে শিশুর প্রকৃতি অনুযায়ী রচনা করতে হবে। ⟿ শিক্ষক তার অনুরাগ চাহিদা, প্রবৃত্তিমূলক প্রবণতা সবকিছু লক্ষ করে শিক্ষার ব্যবস্থা করবেন। — এটিই হল রুশোর শিক্ষানীতির মূল কথা।

তিনি বলেছেন, “Cities are the graves of human species।”

শিশুকে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে হলে বিশ্বপ্রকৃতির সঙ্গে অবাধ মেলামেশার সুযোগ দিতে হবে। গাছপালা, নদনদী, পশুপাখি ইত্যাদির সঙ্গে প্রত্যক্ষ পরিচয়ের মাধ্যমে সে বে অভিজ্ঞতা অর্জন করবে, সেটিই হবে তার শিক্ষার প্রাথমিক ধাপ।

এইজন্য শিশুকে সমাজপরিবেশ থেকে সরিয়ে এনে প্রাকৃতিক অবস্থার মধ্যে রাখতে হবে।

রুশোর শিক্ষণ পদ্ধতি
ইতিবাচক শিক্ষা :
প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করতে গিয়ে রুশো তাঁর একটি প্রধান ত্রুটির কথা বলেছেন— তা হল সেই শিক্ষা ইতিবাচক (Positive Education)।
- এই শিক্ষাপদ্ধতির মূলে এই ধারণা ছিল যে শিশুরা স্বভাবতই অসৎ।
- শিক্ষার দ্বারা তাদের এই অসৎ প্রকৃতির পরিবর্তন করতে হবে।
- শিশুর প্রকৃতি গড়ে উঠবে সমাজ নির্ধারিত পথে।
—এই হল ইতিবাচক শিক্ষা

নেতিবাচক শিক্ষা:
নেতিবাচক শিক্ষা' বলতে তিনি শিক্ষার অভাবকে বোঝাতে চাননি।
তিনি চেয়েছিলেন গতানুগতিক চিন্তাধারার পরিবর্তন।
যে শিক্ষায় জ্ঞানের পূর্বে জ্ঞান সংগ্রহের বস্তুসামগ্রীকে উপযুক্ত করে তৈরি করা হয়, তাকেই তিনি নেতিবাচক শিক্ষা বলেছেন।
শিশুর প্রকৃতি স্বভাবতই সৎ, অবিকৃত এবং পবিত্র। তার আগ্রহ বৃদ্ধির জন্য তাকে দিতে হবে স্বাধীনতা। তার মন যাতে অসৎ-এর দিকে না যায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
রুশো মনে করতেন, বুদ্ধির বিকাশ নির্ভর করে ইন্দ্রিয়ের বিকাশের উপর। তাই তিনি ইন্দ্রিয়ের পরিচালনার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর পদ্ধতির মূল কথা হল নেতিবাচক শিক্ষা।
⟿ শিশুর প্রকৃতি স্বভাবতই সৎ, অবিকৃত এবং পবিত্র।
⟿ তার আগ্রহ বৃদ্ধির জন্য তাকে দিতে হবে স্বাধীনতা।
⟿ তার মন যাতে অসৎ-এর দিকে না যায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
⟿ রুশো মনে করতেন, বুদ্ধির বিকাশ নির্ভর করে ইন্দ্রিয়ের বিকাশের উপর।
⟿ তাই তিনি ইন্দ্রিয়ের পরিচালনার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।
তাঁর পদ্ধতির মূল কথা হল নেতিবাচক শিক্ষা, যার বৈশিষ্ট্য হল ইন্দ্রিয়ের পরিমার্জন এবং যুক্তিশক্তির স্বাভাবিক বিকাশ করে শিক্ষাদান।

মানবজীবন বিকাশের স্তর (Stages of Human Development):
রুশো তাঁর 'এমিল' গ্রন্থে বিভিন্ন বয়সের শিশুর জন্য বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রবর্তনের কথা বলেন। ‘এমিল’ গ্রন্থের মধ্যে দুজনের জীবনী বর্ণিত আছে। যথা—এমিল (BOY), এবং সোফি (GIRL)। এমিলের শিক্ষাকালকে বয়স অনুযায়ী কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করেছেন এবং উপন্যাসের কাহিনির মধ্য দিয়ে বিভিন্ন অধ্যায়ে এক একটি পর্যায়ে শিক্ষাপদ্ধতির তৈরি করা এব বৈশিষ্ট্যকে পরিস্ফুট করে তুলেছেন। রুশোই প্রথম এই জীবন বিকাশের স্তর অনুযায়ী শিক্ষা পরিকল্পনা রচনার কথা বলেন।
তিনি মানবজীবনের বিকাশকে চারটি স্তরে ভাগ করেছেন।

প্রথম স্তর 1-5 বছর বয়স পর্যন্ত। এটি শিশুর ইন্দ্রিয় গঠনে সাহায্য করবে এবং শিশুর দৈহিক বিকাশের উপর জোর দেওয়া হবে। দৈহিক বিকাশের জন্য তিনি খেলাধুলার কথা বলেন। আনন্দ ও খেলার মধ্যে সে বড়ো হবে। তার খেলার সামগ্রী হবে গাছের ফুল, ফল ডালপালা ও কাঠের বল। এই স্তরে পুথির কোনো ভূমিকা থাকবে না। দুর্বল স্বাস্থ্যের অধিকারী। শিশুর মধ্যে আদেশ মানার শক্তি থাকবে না। তাকে গ্রামের পরিবেশে নিয়ে গিয়ে প্রাকৃতিক ঘটনাবলি পর্যবেক্ষণ করাতে হবে এবং তাকে মুক্তভাবে ছেড়ে দিতে হবে। তাহলে সে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠবে।

দ্বিতীয় স্তর বা বাল্যস্তর 5-12 বছর বয়স পর্যন্ত। এই স্তরেও শিশুর যুক্তি ক্ষমতা পরিপক্ক হয়নি। তাই বুদ্ধিবৃত্তির শিক্ষা তখনও অর্থহীন। শিশুকে শিশুই থাকতে দিতে হবে। সুতরাং দেহ গঠন, মুক্ত বিচরণ ও প্রকৃতি নিরীক্ষণের মধ্য দিয়ে অনুসন্ধিৎসা জানানোই প্রধান কাজ। মনের জমি সাময়িকভাবে অনাবাদি থাকলেও ভবিষ্যতে আবাদে সোনা ফলবে। রুশো বলেছেন— Exercise the body, the organs, the sense and powers, but keeps the soil lying follow as long as you can"। শিক্ষাকে ত্বরান্বিত করার প্রয়োজন নেই। সময় সংক্ষেপ করার বদলে কালক্ষেপ করাই লাভজনক। “It is not to gain time, but to lose " কারণ এই কালক্ষেপণের মধ্যে প্রকৃত শিক্ষার প্রস্তুতি চলে। মনের জমিতে জলসেচ হয়।

তৃতীয় স্তরের শিক্ষা 12-15 বছর বয়স পর্যন্ত। এই স্তরই জ্ঞান অর্জনের স্তর। এত দিন পর্যন্ত ইন্দ্রিয় ও দেহের শিক্ষার ফলে পড়াশোনার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। মানসিক ক্ষমতা বেড়েছে। সুতরাং এই স্তরই জ্ঞানার্জন ও প্রয়োগের সময়। শিক্ষণীয় বিষয় নির্বাচনে জ্ঞানের "প্রয়োগমূল্যই' মূল বিচার্য হওয়া উচিত। প্রয়োজনের বিচারে প্রকৃত বিজ্ঞান পাঠ করার কথা রুশো বলেছেন। শিক্ষক হবেন শিশুর ক্রমবিকাশের সহায়ক। মুখস্থবিদ্যার বদলে বিশ্লেষণ এবং গবেষণা পদ্ধতির কথাই রুশো বলেছিলেন।

শিক্ষার চতুর্থ স্তর 15-20 বছর পর্যন্ত (কৈশোর স্তর)। এই স্তর সমগ্র জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এতদিন পর্যন্ত শিশুর শিক্ষা হয়েছে আত্মবিকাশ ও আত্মোন্নতির জন্য। এখন সমাজ ও প্রীতির সময়। এই স্তরে অন্তর গঠনের জন্য নীতিশিক্ষা ও ধর্মশিক্ষার কথা বলেছেন। জীবনের প্রকৃত প্রয়োজন এখান থেকেই শুরু। সামাজিক সম্পর্কের শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। মানবিক দর্শন ও বিজ্ঞান এ সময় শিশুর পাঠ্য। ইতিহাস পড়ে সামাজিক মনোভাব সৃষ্টি হবে। মহৎ ব্যক্তি বা মানুষের জীবনী পড়ে মানুষের উপর শ্রদ্ধা জন্মাবে। দর্শন পড়ে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ও ব্যক্তিমানুষের সম্পর্ক জানা যাবে। তখনই আসবে ধর্মচেতনা ও প্রকৃত ধর্মশিক্ষা। এই ধর্মচেতনাই রুশো 'Saveyar Vicar's Profession of Faith' রূপে উপস্থাপন করেছেন। তা ছাড়া কৈশোরের যৌন প্রবণতার উদ্‌গমনের জন্য চাই যৌন শিক্ষা। সবশেষে ব্যাপক ভ্রমণের মাধ্যমে শিক্ষা শেষ হবে।






Class Video Link -
1,122 views1 comment

Recent Posts

See All

Comments

Rated 0 out of 5 stars.
No ratings yet

Add a rating
Prosanta Barai
Prosanta Barai
Oct 31, 2023

রুশোর পিডিএফ দিন

Like
bottom of page